মেহেরপরে একাত্তর, এপ্রিল 0৩
জ্ঞানচিন্তার আলোকে স্রষ্টামুখী মানুষগুলো পার্থিব পাওয়া থেকে নিজেকে দূরত্ব রেখে চলেন বলেই তারা স্রষ্টার সান্নিধ্যের ছায়া তলে জীবনের পূর্ণতার সন্ধান পায়। মেহেরপুরের কামদেবপুর গ্রামের সাহ সুফি মোঃ রফিকুল ইসলাম আল চিশতী নিজামী জীবনের চল্লিশটি বছর আল্লাহ প্রেমের উৎসবে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অন্য মাত্রায়। কোরআন আর হাদিসের জ্ঞানভান্ডারে সুফিবাদ দর্শনে কুলসমুক্ত আত্মার মহামুক্তির স্বাদ নিয়ে ধর্মচর্চা করে চলেছেন সমাজ চক্ষুর অন্তরালে। তিনি রব মুখী ভাবনা থেকে রবের সাথে সংযুক্ত হওয়ার কাতারের একজন। সাহ সুফি মোঃ রফিকুল ইসলাম আল চিশতী নিজামী আধ্যাত্মিকতা কথার খুশবু ছড়িয়ে ভক্তকুলে সম্মান অর্জন করেছেন অনেক আগেই। তিনি যৌক্তিক মত প্রকাশ করে বলেন, সুফিবাদের দিক-নির্দেশক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাওয়া ও স্রষ্টা প্রেমের জাফরান মাখতে হলে সালাত নামাজকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং স্রষ্টার সংযোগ প্রচেষ্টায় নিজের আত্মাকে পবিত্র রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, সুফিবাদ না হলে আউলিয়া হওয়া যায় না, সৃষ্টি প্রেমের মাধ্যমেই স্রষ্টাকে পাওয়া যায়। সুতরাং তার সৃষ্টিকে অবজ্ঞা করে স্রষ্টাকে পাওয়া এ যেন দুই দুগুনে পাঁচ এর মতো। সাহ সুফি মোঃ রফিকুল ইসলাম আল চিশতী নিজামী বলেন, সুফি সাধক চিনতে হলে তার আলামত হবে আল্লাহ মুখী বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে নইলে বৃথাই দৌড় ছুট করা হবে, কান্ডারী মিলবে না জীবনের ডুব সাঁতারে।