মেহেরপুর একাত্তর, এপ্রিল ০৪
চিন্তক মানুষগুলো ভাবনার সুন্দরে আলোক বার্তা ছড়িয়ে থাকে কর্মময় জীবনের পথ চলাতে, পরিকল্পিত ইচ্ছার মাপকাঠিতে তৈরি করে সভ্যতার বিজয় বেলা। মেহেরপুরের সংস্কৃতি প্রিয় ব্যক্তিত্ব নুরুল আহমেদ কলেজ জীবন ৭২ সাল থেকেই সাহিত্যের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। মেহেরপুর সরকারি কলেজে দেয়াল পত্রিকায় ছোট গল্প মালিশ লেখাটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই লেখার প্রতি উৎসাহিত হয়ে পড়েন। তবে সবচাইতে লেখালেখিতে অবদান বা অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবুদ্দিন আহমেদ সেন্টু এবং বোন রিজিয়ার কাছ থেকে। নুরুল আহমেদ মূলত প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লিখে থাকেন পাশাপাশি কবিতা চর্চাও করে থাকেন। স্বপ্নচারী মানুষটি একাধিক সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৭ সালে জাতীয় সাহিত্য পরিষদের সাহিত্য পদক এপার বাংলা ওপার বাংলা বিজয় সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি একজন, এছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রদত্ত মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন। নুরুল আহমেদ ১৯৭৪ এর দিক থেকেই সমকালীন প্রবন্ধ লিখে পাঠক জনপ্রিয় হয়েছিলেন। একাধিক জাতীয় সংবাদমাধ্যমে তার লেখা প্রকাশ হয়েছে যেমন ইত্তেফাক, ইনকিলাব, জনতা এছাড়াও দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক পত্রিকা সহ স্থানীয় পত্র পত্রিকা ও সাহিত্য সংখ্যা গুলোতে। অন্যদিকে প্রবন্ধকার নুরুল আহমেদ ভাসানীর হক কথা, ঢাকা সংবাদ, রাজশাহী বার্তা সহ আরো কয়েকটি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন জীবনের বেশ কয়েক বছর। মেহেরপুরের এই গুনীজন বেশ কয়েকটি সংগঠনের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন। যেমন সাধারণ সম্পাদক- সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযোদ্ধা ৭১ মেহেরপুর সদর, সভাপতি- মেহেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সহ সভাপতি- জেলা শিল্পকলা একাডেমি মেহেরপুর, সহ সভাপতি ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর মেহেরপুর, সভাপতি- বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ মেহেরপুর পৌর শাখা, নির্বাহী সদস্য- জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, সভাপতি- বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা, সভাপতি- কালের কন্ঠ শুভ সংঘ মেহেরপুর।