মেহেরপুর একাত্তর, ০৭ এপ্রিল ২৩
সুর সাধনে জীবন ভাবনা প্রকাশ করে চলেছে মেহেরপুরের সঙ্গীত শিল্পী সাবিনা সাত্তার মিতা। শিশুকাল থেকেই সঙ্গীত সাধনে চরমভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। মাত্র ছয় বছর বয়স থেকেই বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীতে শিশুদের জন্য কলকাকলি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন। সাবিনা সাত্তার মিতার বাবা ছিলেন বাংলাদেশ বেতার খুলনার সঙ্গীত পরিচালক মরহুম মীর আব্দুর সাত্তার। সেই সুবাদে ঘর থেকেই তাঁর সংস্কৃতির যাত্রা শুরু হয়েছিল। অন্যদিকে এই সঙ্গীত শিল্পী শিশুকালে এবং স্কুল-কলেজ জীবনে একাধিকবার পুরস্কার অর্জন করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ খুলনা বেতারে আধুনিক সংগীত পরিবেশন করে থাকেন নিয়মিত। তিনি ২০১২ সালে সংস্কৃতির উন্নয়নে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয় হয়ে তাক লাগিয়েছিলেন সবাইকে। ভালো চিন্তক মানুষটি সাদাকে সাদা বলার সাহস ও মানসিকতা থেকেই সংস্কৃতি সু-বোধের আলোকে ছড়িয়ে চলেছেন জীবনের প্রতিটি দিনক্ষণে। অ্যাডভোকেট মৃত সৈয়দ আমিনুল ইসলামের ‘মেহেরপুর এর ইতিহাস’ গ্রন্থে’ মেহেরপুরের সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে সাবিনা সাত্তার মিতার নাম লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এছাড়াও সাবিনা সাত্তার মিতা মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আপনার কি ভালো লাগে ! প্রতিবেদকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সঙ্গীত সাধনা, সেইসাথে অবশ্যই পরিবারের সঙ্গে সময় দেওয়া। তিনি তার মনের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে বলেন, মেহেরপুরের সঙ্গীত চরমভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে সেইসাথে সিনিয়র শিল্পীদের প্রতি নবীন শিল্পীদের দায়িত্ব হীনতা চোখে পড়ার মত। তবুও তিনি এই সমস্ত শিল্পীদের সু-কামনা করে বলেন, তারা যেন বর্তমান ও আগামীতে সঙ্গীতের মূল ধারাতে থাকতে পারে, হয়ে উঠতে পারে মানুষের মতো মানুষ।