মেহেরপুর একাত্তর, মার্চ ২৪
অনুশীলন গুলো কখনো কখনো জীবনকে প্রতিষ্ঠিত হবার স্বপ্নচূড়ায় পৌঁছিয়ে দেয়, ইচ্ছার শক্তিতে মানুষ তার পরিচিতি ঘটায় সমাজ ও রাষ্ট্রে। মেহেরপুরের গোলকিপার ও ক্রিকেট খেলোয়াড় মোঃ মাসুদ করিম (ধলস) ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা জীবনে স্থানীয়ভাবে দর্শকদের কাছে প্রিয় আপনজন ও সবার চেনা মানুষ। তিনি ১৯৭৪ সালের মেহেরপুর টাউন ক্লাবের ফুটবল খেলার মাধ্যমে নিজেকে ক্রীড়াবিদ হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন। অন্যদিকে তাঁর গোলকিপার জীবন দর্শক প্রিয়তার জন্য বাংলাদেশের অনেক জেলা থেকেই তাকে তার ফুটবল খেলার ডাক পড়তো। এছাড়া ক্রিকেটেও ব্যাপক পরিচিত লাভ করে দিয়েছিল হাত বলের নৈপূণ্যতার মাধ্যমে। মোঃ মাসুদ করিম (ধলস) ঢাকা চলন্তিকা ক্রীড়াচক্রে ১২ বছর উড়ন্ত পাখি খেতাব নিয়ে দাপটের সাথে ফুটবল খেলেছিলেন। সেই সাথে তিনি ৮৩ থেকে ৮৪ সাল চট্টগ্রাম মোহামেডানের হয়ে খেলেছিলেন। তিনি আমাদের সূর্যোদয় প্রতিবেদককে বলেন, টাঙ্গাইল জেলাতে খেলতে গিয়ে স্বর্ণ পুরস্কার (মেডেল) পেয়েছিলেন। এই বিনয়ী মানুষটি এসময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন তাঁর খেলার ওস্তাদ মরহুম আব্দুল হামিদকে। তিনি আব্দুল হামিদের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ওস্তাদ আমার মাঝে ক্রীড়া চর্চার সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছিলেন এবং তাঁর প্রেরণা আমাকে খেলা জীবনে বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। তিনি তাঁর আক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে বলেন, মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা নিয়ে অনেক বলার ছিল, রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনেক প্রশ্ন। মোঃ মাসুদ করিম (ধলস) তাঁর খেলা জীবনের স্মরণীয় কথা বলতে গিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জে সেখানে চরমভাবে অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছিল প্রানটি আল্লাহ তালাই রক্ষা করেছিলেন এবং বাঁচিয়েছিলেন। অন্যদিকে মাগুরার আলোকদি মাঠে সবচাইতে বেশি দর্শকের মাঝে খেলা প্রদর্শন করেছিলেন। এই খেলোয়াড় মানুষটি ৯২ সালে খেলা জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি তাঁর মনে কষ্টের কথা বলতে গিয়ে বলেন, যা খেলা জীবনে শিখেছিলাম তা কাউকে শেখাতে পারেনি এর জন্য দায়ী মেহেরপুরের একটি সরকারি ক্রীড়া চর্চা প্রতিষ্ঠান। মোঃ মাসুদ করিম (ধলস) তাঁর ভালো লাগে কি এমন এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ভালো লাগে খেলা দেখতে সেই সাথে মাছ ধরতে। এই খেলোয়াড়ের বাড়ি মেহেরপুর মল্লিকপাড়া, সংসার জীবনে তাঁর একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।