মেহেরপুর একাত্তর, ২৭ সেপ্টেম্বর:
দুবাইয়ে ছয় মাসের বৈশ্বিক মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নকে এমনভাবে সাজানো হবে, যাতে উপর থেকে ফুটন্ত পদ্মের মতো দেখাবে। দ্বিতল প্যাভিলিয়নে নৌকার মতো সাজানো পোডিয়ামগুলোতে পাটের কারুকাজ থাকবে। ফলে আকাশ থেকে তাকালে জলে ভাসমান ফুটন্ত পদ্মফুল মনে হবে। সোমবার ‘এক্সপো-২০২০ দুবাই’ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি সাংবাদিকদের বলেন, এই মেলায় শুধু পণ্য প্রদর্শন নয়, বিশ্ববাসীর সামনে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি কালচার তুলে ধরা হবে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে। সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, মেলা কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ অনুযায়ী বাংলাদেশের দ্বিতল প্যাভিলিয়নের নীচতলায় ৪৩৬ দশমিক ৫৬ বর্গমিটার প্রদর্শনীর জন্য এবং দ্বিতীয় তলায় ৩৮২ দশমিক ৫৭ বর্গমিটার সভা সেমিনার ও বিজনেস টু বিজনেস সভার কাজে ব্যবহারের জন্য সাজানো হয়েছে। এরমধ্যে প্যাভিলিয়ন ভাড়া বাবদ ৬ লাখ ডলার বা প্রায় ৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে; সাজ-সজ্জা বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ১ অক্টোবর বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করবেন। টিপু মুন্সি জানান, মেলায় বাংলাদেশের ফলপ্রসূ অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীনকে বিজনেস পয়েন্ট অব কন্টাক্ট, বাণিজ্য সচিবকে কমিশনার জেনারেল, অতিরিক্ত সচিবকে (রপ্তানি) ডেপুটি কমিশনার জেনারেল, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যানকে কো-অর্ডিনেটর এবং ইপিবির মহাপরিচালককে প্যাভিলিয়ন ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবুধাবিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল ও কমার্শিয়াল কাউন্সেলর এক্সপো আয়োজনে গুরুপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত ব্যুরো ইন্টারন্যাশনাল ডেস এক্সপোজিশন (বিআইই) এর পৃষ্ঠপোষকতায় ৬ মাসব্যাপী ওয়ার্ল্ড এক্সপো পাঁচ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে ইতালির মিলানে সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া (এমইএএসএ) অঞ্চলে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০ আয়োজন করছে, যা কোভিড মহামারীর পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী ১ অক্টোবর শুরু হয়ে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে। পরের মেলা হবে জাপানের টোকিওতে। অলিম্পিক গেমস ও ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপের পরে তৃতীয় বৈশ্বিক ইভেন্ট হিসাবে ওয়ার্ল্ড এক্সপো মূলত বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি, বাণিজ্য সম্ভাবনা ও সংস্কৃতি বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করে। প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের সম্ভাবনায় পণ্যের পাশাপাশি কৃষ্টি ঐতিহ্য সম্পর্কিত পণ্য সম্ভার প্রদর্শনী করা হবে এবং কিছুদিন পর পর পণ্য প্রদর্শনীর তালিকা পরিবর্তন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।