মেহেরপুর ৭১, ২৬ অক্টোবর:
এক এতিম শিশুর যাবতীয় দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে দায়িত্ববোধের নজির স্থাপন করলেন মেহেরপুর পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিব। ৮ বছরের অবুজ ছোট্ট শিশু রাইসা আফরোজ খুশির মা মালা খাতুন ৩ বছর আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন, একমাত্র বড় ভাই তুষার বিষপান করে আত্মহত্যা করেন ৮ মাস আগে আর বাবা মহাসিন আলী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ মাস আগে মৃত্যুবরণ করেন। জীবিত বলতে তার বড় বোন চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে থাকেন। নিকট আত্মীয় বলতে নানী। তিনিও থাকেন অন্যের বাড়িতে। খুশির বাড়ি মেহেরপুর শহরের ফৌজদারি পাড়ায়। সে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। রোল নং- ১। খুশির সামনে এই পৃথিবী এখন ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন। এমন ঘোর অন্ধকার জীবনের কথা শুনে এগিয়ে এলেন মেহেরপুর পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিব। আজ সোমবার থেকে খুশির লেখাপড়া থেকে শুরু করে যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। নুরুল আশরাফ রাজিবের অফিসে খুশিকে ডেকে এনে তার যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানালেন স্থানীয় লোকজন সহ গণমাধ্যমকে। এছাড়াও তাৎক্ষনিক খুশির হাতে বেশকিছু নগদ অর্থ তুলে দেন মেহেরপুর পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিব, গাংনী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহবুবুল হক মন্টু ও মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গাজী মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস, সাংবাদিক মাহবুব চাঁন্দু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, খুশির নানী হালিমা খাতুন প্রমূখ। কাউন্সিলর রাজিব বলেন, খুশি ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আর আমি ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এখানে ওয়ার্ড কোন বিষয় নয়, মানুষের সেবা করাই মানুষের ধর্ম, সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমি খুশির লেখাপড়াসহ যাবতীয় দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছি। এসময় এ গুরু দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি ভালো কাজে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিব।